Dhaka , বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারত-কানাডার কৃষিপণ্যে কঠোর শুল্কের ইঙ্গিত ট্রাম্প প্রশাসনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আক্রমণাত্মক শুল্কনীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ভারত থেকে চাল এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে পারে তাঁর প্রশাসন। দুই দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য আলোচনার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এ পদক্ষেপ বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।

স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজে কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ভারতীয় চাল ও কানাডিয়ান সারের আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সমস্যা খুব সহজ… শুল্ক দিলে দুই মিনিটেই পরিস্থিতি বদলে যাবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ওই বৈঠকে ট্রাম্প মার্কিন কৃষকদের জন্য কয়েকশো কোটি ডলারের নতুন ত্রাণ প্যাকেজও ঘোষণা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এশিয়ার দেশগুলোর কৃষিপণ্য আমদানি যুক্তরাষ্ট্রের দেশীয় উৎপাদকদের জন্য বড় ধরনের হুমকি।

ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রশাসন কৃষকদের জন্য প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে, যা আসবে বিদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব থেকে।

এ সময় এক মার্কিন উৎপাদক ভারতের চাল আমদানিকে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের জন্য ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে উল্লেখ করেন। আলোচনায় আরও উঠে আসে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া শীর্ষ দুই চালের ব্র্যান্ডই ভারতীয় কোম্পানির মালিকানাধীন। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “ঠিক আছে, আমরা এটা দেখছি… এটা চলতে পারে না।

শুধু চাল নয়, কানাডা থেকে সারের ওপরও উচ্চ শুল্ক দেওয়ার ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। তাঁর ভাষায়, প্রয়োজন হলে খুবই কঠোর শুল্ক দেবো। এতে স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং আমরাই আমাদের সব কিছু এখানে করতে পারব।

গত এক দশকে ভারত–যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বাণিজ্য দ্রুত বেড়েছে। তবুও ভর্তুকি, বাজার প্রবেশাধিকার ও ডব্লিউটিও–সংক্রান্ত অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্ককে নিয়মিত চাপে রাখছে—বিশেষত চাল ও চিনিকে ঘিরে।

ট্যাগ :

আপনার মতামত দিন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

জনপ্রিয় খবর

ভারত-কানাডার কৃষিপণ্যে কঠোর শুল্কের ইঙ্গিত ট্রাম্প প্রশাসনের

আপডেট সময় : ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আক্রমণাত্মক শুল্কনীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ভারত থেকে চাল এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করতে পারে তাঁর প্রশাসন। দুই দেশের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলা বাণিজ্য আলোচনার কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় এ পদক্ষেপ বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন।

স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজে কৃষি খাতসংশ্লিষ্ট এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ভারতীয় চাল ও কানাডিয়ান সারের আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। সমস্যা খুব সহজ… শুল্ক দিলে দুই মিনিটেই পরিস্থিতি বদলে যাবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ওই বৈঠকে ট্রাম্প মার্কিন কৃষকদের জন্য কয়েকশো কোটি ডলারের নতুন ত্রাণ প্যাকেজও ঘোষণা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এশিয়ার দেশগুলোর কৃষিপণ্য আমদানি যুক্তরাষ্ট্রের দেশীয় উৎপাদকদের জন্য বড় ধরনের হুমকি।

ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর প্রশাসন কৃষকদের জন্য প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে, যা আসবে বিদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব থেকে।

এ সময় এক মার্কিন উৎপাদক ভারতের চাল আমদানিকে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের জন্য ‘ধ্বংসাত্মক’ বলে উল্লেখ করেন। আলোচনায় আরও উঠে আসে, যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া শীর্ষ দুই চালের ব্র্যান্ডই ভারতীয় কোম্পানির মালিকানাধীন। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “ঠিক আছে, আমরা এটা দেখছি… এটা চলতে পারে না।

শুধু চাল নয়, কানাডা থেকে সারের ওপরও উচ্চ শুল্ক দেওয়ার ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। তাঁর ভাষায়, প্রয়োজন হলে খুবই কঠোর শুল্ক দেবো। এতে স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং আমরাই আমাদের সব কিছু এখানে করতে পারব।

গত এক দশকে ভারত–যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বাণিজ্য দ্রুত বেড়েছে। তবুও ভর্তুকি, বাজার প্রবেশাধিকার ও ডব্লিউটিও–সংক্রান্ত অভিযোগ দুই দেশের সম্পর্ককে নিয়মিত চাপে রাখছে—বিশেষত চাল ও চিনিকে ঘিরে।