লন্ডনের ঐতিহাসিক টাওয়ার অব লন্ডনে অমূল্য ক্রাউন জুয়েলস প্রদর্শনীর কাচে খাবার নিক্ষেপের ঘটনায় চার বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ঘটা এ ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাজ্যে বেড়ে ওঠা সরাসরি প্রতিবাদমূলক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন সংরক্ষিত কাচের কেসে আপেল ও কাস্টার্ড ছোড়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকেই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ‘ক্রিমিনাল ড্যামেজ’-এর অভিযোগ আনা হয়েছে।
‘টেক ব্যাক পাওয়ার’ নামের তুলনামূলক কম পরিচিত একটি নাগরিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী এই কর্মসূচির দায় স্বীকার করেছে। সংগঠনটির দাবি, যুক্তরাজ্যে একটি ‘স্থায়ী নাগরিক পরিষদ’ গঠনের দাবিকে সামনে রেখেই তারা এ ধরনের প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে—যা ধনী শ্রেণির ওপর বাড়তি কর আরোপসহ কাঠামোগত রাজনৈতিক সংস্কারের পথ খুলে দেবে।
ঘটনার ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেখা যায়—এক নারী প্রদর্শনী কেসে খাবারের ট্রে আঘাত করেন এবং সাথে থাকা এক যুবক কাস্টার্ড ছুড়ে মারেন। দুজনের শর্টে লেখা ছিল—“টেক ব্যাক পাওয়ার”। তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন: “গণতন্ত্র ভেঙে পড়েছে”, “ব্রিটেন ভেঙে গেছে”।
তবে পুলিশ নিশ্চিত করেছে—২০২৩ সালে রাজা চার্লস তৃতীয়ের অভিষেকসহ বহু জাতীয় আনুষ্ঠানিকতায় ব্যবহৃত ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন একেবারেই অক্ষত রয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে জুয়েল হাউস সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও তদন্ত শেষে সেদিনই পুনরায় তা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ‘হিস্টরিক রয়্যাল প্যালেসেস’ জানিয়েছে—মূল জুয়েলগুলোর কোনো ক্ষতি হয়নি।

রিপোর্টারের নাম 















